ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ইসরায়েলের সঙ্গে চলমান যুদ্ধ অবসান ঘটাতে হামাসের প্রতি কিছু দাবি করেছেন এবং হামাসকে ‘কুকুরের বাচ্চা’ সম্বোধন করেছেন। তন্মধ্যে:
- ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি
- ইসরায়েলিদের কাছে গাজা হস্তান্তর
- হামাসের অস্ত্র সমর্পণ
এই দাবিগুলোর মধ্যে শেষের দুটি দাবি একজন মুনাফিক ছাড়া কেউ করতে পারে না।
দখলীকৃত পশ্চিম রামাল্লায় এক সভায় তিনি বলেন, গাজায় হামলা অব্যাহত রাখার জন্য ইসরায়েলের হাতে ‘অজুহাত’ তুলে দিয়েছে হামাস।

ইসরায়েলি গণমাধ্যম দ্য জেরুজালেম পোস্ট জানায়, বুধবার ফিলিস্তিন সেন্ট্রাল কাউন্সিলের বৈঠকে টিভিতে সম্প্রচারিত এক বক্তব্যে মুনাফিক আব্বাস হামাসকে কুকুরের বাচ্চা বলে গালি দেয়।
তার উক্তিটি ছিল, “কুকুরের বাচ্চারা জিম্মিদের মুক্তি দাও।”
জিম্মিদের মুক্তি দিলেও যুদ্ধ অব্যাহত থাকবে এই বিষয়ে তিনি অবগত থাকলেও বলেন, “যুদ্ধ বন্ধ হতে হবে। এই যুদ্ধে প্রতিদিন শত শত মানুষ মরছে। কারণ, হামাস এখনও জিম্মিদের হস্তান্তর করেনি।”
যুদ্ধ শুরুর পর গত ১৮ মাসে এটাই হামাসের বিরুদ্ধে তার সবচেয়ে কঠিন মন্তব্য।
গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য ইসরায়েল ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির বদলে জিম্মি হয়ে থাকা ৫৯ জনের মধ্যে ১০ জনের মুক্তি এবং গাজায় হামাসের অস্ত্র সমর্পণের প্রস্তাব দিয়েছিল। যেই বিষয়ে হামাস রাজি হয়নি যা, একটি মুসলিম বাহিনীর জন্য স্বাভাবিক বিষয়।
উত্তরে হামাস বলেছে, যুদ্ধ বন্ধ করলে এবং ইসরায়েলি সেনা পূর্ণাঙ্গ প্রত্যাহার হলে তারা জিম্মিদের মুক্তি দেবে।
২০০৭ সালে গাজার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছিলো হামাস এবং মুনাফিক মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বাধীন ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এখন পশ্চিম তীরের একাংশ শাসন করছে।
মুনাফিক মাহমুদ আব্বাস বলেছেন, হামাসকে গাজা ও তাদের হাতে থাকা অস্ত্র সমর্পণ করে নিজেদের রাজনৈতিক দলে রূপান্তর করতে হবে।
হামাসকে একটি রাজনৈতিক দলে পরিণত হওয়ার ডাক দিয়ে তিনি বলেছেন, “আমেরিকানদের পরিবর্তে আমাদের সঙ্গে কথা বলুন।”
মুনাফিক আব্বাস আরও বলেন: “হামাস অপরাধমূলক দখলদারিত্বের অজুহাত ইসরায়েলের হাতে তুলে দিয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো জিম্মি ধরে রাখা।”
হামাসকে ‘কুকুরের বাচ্চা’ সম্বোধন করে মুনাফিক আব্বাস বলেন, “কুকুরের বাচ্চারা, যাদের আটকে রেখেছো ছেড়ে দাও। তাদের সুযোগ দেয়া বন্ধ করো এবং আমাদের ছেড়ে দাও।”
বাসেম নাইম (হামাসের রাজনৈতিক সদস্য) বলেছেন, মাহমুদ আব্বাস নিজের লোকদের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশের প্রতি অবমাননাকর ভাষা ব্যবহার করেছেন।
সোর্সঃ Al Jazeera