স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, তেল আবিবের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত ইসরায়েলের শীর্ষ সামরিক সদর দপ্তর কিরিয়া কম্পাউন্ডে ইরান ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।
কিরিয়া কম্পাউন্ড – যেখানে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর কেন্দ্রীয় কমান্ড এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় অবস্থিত। কিরিয়া কম্পাউন্ডকে ইসরায়েলের পেন্টাগন বলা হয়।নিউ ইয়র্ক টাইমস ভেরিফাইড ফুটেজে দেখা গেছে যে, একটি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলি সামরিক সদর দপ্তরের সংলগ্ন মার্গানিট টাওয়ারের আশেপাশের এলাকায় পৌঁছেছে।
ফক্স নিউজে প্রকাশিত ভিডিওতে ইসরায়েলের ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি দেখা গেছে। সংবাদদাতা ট্রে ইয়িংস্ট বলেন,
ইরান তিনটি ধাপে হামলা চালিয়েছে। ইরানের মিসাইলগুলো ইসরায়েলের পেন্টাগন কিরিয়াতে সরাসরি আঘাত হানে।

আক্রমণের তীব্রতা ইসরায়েলি সামরিক মুখপাত্র এফি ডিফ্রিনকে তার প্রেস ব্রিফিং অকালে থামিয়ে দিতে বাধ্য করে।
যখন ডিফ্রিন তেল আবিবে কিরিয়ার সদর দপ্তরে, তখন একটি লাউডস্পিকার ঘোষণা করে যে ঘাঁটিটি “প্রতিরক্ষামূলক স্ট্যান্ডবাই” অবস্থায় চলে যাচ্ছে, যার ফলে ডিফ্রিন তার সংবাদ সম্মেলন থামাতে বাধ্য হন।
কিরিয়ার কম্পাউন্ড হল ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের স্নায়ু কেন্দ্র। যেখানে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর জেনারেল স্টাফ এবং গুরুত্বপূর্ণ কমান্ড রয়েছে, যা দেশের সবচেয়ে সংবেদনশীল এবং কড়া সুরক্ষিত স্থানগুলির মধ্যে একটি।

কিরিয়ার কম্পাউন্ডে ইরানের হামলাকে ইরানের কৌশলগত এবং প্রতীকী উভয় বার্তা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
স্থানীয় প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে কিরিয়ার ভেতরে কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি, যদিও তেল আবিবের কাছাকাছি এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি এবং আহত হয়েছে।
এই হামলাটি ইসরায়েলের সামরিক কেন্দ্রস্থলের গভীরে ক্ষেপণাস্ত্র প্রবেশের একটি বিরল ঘটনা, যা বর্তমান ইসরায়েল-ইরান সংঘর্ষের ক্রমবর্ধমান প্রকৃতিকে তুলে ধরে।